অ্যালার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্ক জানুন
সূচিপত্রঃ অ্যালার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্ক জানুন
- অ্যালার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্ক জানুন
- অ্যালার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্ক জানুন
- চর্ম রোগের ক্ষেত্রে নিম পাতার ব্যবহার
- ব্রণ নিরাময়ের জন্য নিম পাতার ব্যবহার
- অ্যালার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার
- একজিমার সমস্যায় নিম পাতার ব্যবহার
- মাথার চুলে এবং খুশকি দূর করতে নিম পাতার ব্যবহার
- চোখের চুলকানি দূর করতে নিম পাতার ব্যবহার
- ফাংগাল ইনফেকশন নিম পাতার ব্যবহার
- নিম পাতার অপকারিতা
- শেষ কথা - অ্যালার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্ক জানুন
অ্যালার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্ক জানুন
নিম পাতা কয়েকটি উপায়ে ব্যবহার করা হয়ে থাকে যার মধ্যে একটি হল কাঁচা পাতা আর অন্যটি হলো শুকনো পাতা এ এই দুই টি উপায়ে নিম পাতা ব্যবহার করা হয়। কাঁচা নিম পাতা পেস্ট করে ব্যবহার করা যায় আবার পানিতে সিদ্ধ করে সে পানি ব্যবহার করা যায়। নিমপাতা ব্যবহারের ফলে মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। নিম পাতার মধ্যে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল উপাদান থাকায় শরীরে ব্যবহারের ফলে শরীরের জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
আবহাওয়ার তার তর্মের ফলেও অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। ফলে ত্বক চুলকানোর ফলে ত্বক লাল হয়ে যাওয়া এবং চামড়ার উপরিভাগে চার চাক হয়ে ফুলে যাওয়া এবং চোখে চুলকানোর ফলে লাল বর্ণ ধারণ করা। আর এর কারণে আমরা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকি। এটা আংশিকভাবে কমিয়ে দিলেও চিরস্থায়ীভাবে নির্মূল করা সম্ভব হয় না। তবে ওষুধ ছাড়াও আমরা অ্যালার্জি দূর করা সম্ভব।
চর্ম রোগের ক্ষেত্রে নিম পাতার ব্যবহার
অ্যালার্জি দূর করতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে আমরা ইতিপূর্বে জানলাম। প্রাচীন কাল থেকে নিমপাতা সহ নিম এর বাকোল, ফুল, ফল এবং বীজ ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এরমধ্যে রয়েছে নানান ঔষধি গুণ। চর্ম সম্পর্কে আমাদের কম বেশি সকলেরই ধারণা রয়েছে এর কারণেই অনেকেই তাদের প্রিয় খাবারগুলো খাবার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে থাকে।চর্ম রোগের ক্ষেত্রে নিম পাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শরীরের চর্মরোগ খুবই মারাত্মক একটা রোগ। এ রোগ সাধারণত বর্ষায় এবং গ্রীষ্মকালে বেশি হয়ে থাকে।
এটা খুব সহজে হয় কিন্তু সারতে বেশ কিছু দিন সময় লাগে। বর্ষার সময় আর্দ্রতার কারণে চর্মরোগ হয়, আর খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান গুলো ত্বকের রোগে ব্যবহৃত হয়। চর্মরোগে নিম পাতা ব্যবহার করলে চর্মরোগে উপশম হয়। গ্রীষ্মকালে গরমের মধ্যে অতিরিক্ত ঘামের কারণে চর্মরোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে এবং তার ছড়িয়ে পড়ে অতীত দ্রুত। কিন্তু চর্মরোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে সময় লাগে অনেক বেশি। নিমপাতা ব্যবহারের ফলে চর্মরোগ থেকে দ্রুত উপশম পাওয়া সম্ভব।
ব্রণ নিরাময়ের জন্য নিম পাতার ব্যবহার
প্রাচীন কাল থেকে নিমপাতা সহ নিম এর বাকোল, ফুল, ফল এবং বীজ ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এরমধ্যে রয়েছে নানান ঔষধি গুণ। এক মুঠো নিম পাতা ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে প্রতিদিন মুখ ধুতে পারেন। এতে ব্রণ ও ইনফেকশন কমে। ব্রণের জন্য নিমপাতা খুবই কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। সকল নারী ও পুরুষ চাই দাগ বিহীন ত্বক। আর দাগ বিহীন ত্বক নারীদের জন্য একটা স্বপ্ন।
বাতাসের মধ্যে ধূলিকণার এবং রসায়নিক এর মাত্রা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছে যা বায়ুকে দূষিত করে দিয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতেই ত্বকের মধ্যে ব্রণ সহ আরো অন্যান্য ত্বকের চর্মরোগ হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। ব্রণের ফলে চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। তাই নামিদামি বেনামী কোম্পানির কসমেটিক্স বর্জন করে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করলে ব্রণহীন চেহারা লাভ করা সম্ভব। প্রাচীনকাল থেকেই ত্বক উজ্জ্বলতা এবং শরীরের উন্নতির জন্য নিমপাতা ব্যবহার হয়ে আসছে।
অ্যালার্জি শুধু মাত্র চুলকানি নয় এরমধ্যে হাঁচি-কাশি কিংবা শ্বাসকষ্ট এলার্জির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে অনেক মানুষ সচেতন সচেতন তাই নিম পাতা ব্যবহার এর মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম পাতার মধ্যে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টি ফাঙ্গাল নামক উপাদান রয়েছে। যা ত্বকের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। নিমপাতা আমরা কি কি ভাবে ব্যবহার করতে পারি সে সম্পর্কে নিজে আলোচনা করা হবেঃ
- নিম পাতার সাথে হলুদ মিশ্রিত করে
- নিম পাতার পানি ব্যবহার
- নিম পাতার রস ব্যবহার
নিম পাতার সাথে হলুদ মিশ্রিত করে
নিম পাতায় অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান বিদ্যমান থাকায় ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধে ও নিয়ন্ত্রণে অধিক কার্যকর ভূমিকা পালন করে। একটি ছোট মাপের হলুদের টুকরো বেটে নিন। এবার তার সঙ্গে মেশান ৩ থেকে ৪ ফোঁটা নিম তেল। মেশাতে পারেন মধু। ভালো করে মিশিয়ে মিশ্রণ বানান।
মিশ্রণটি ত্বকের ওপর লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন। নিম ও হলুদের প্রলেপ ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। ব্রণ, একজিমা মুক্ত ত্বকের অধিকারী হতে হলে নিম পাতার সাথে কাঁচা হলুদ এর মিশ্রণ ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। এতে ত্বক ব্রণ, একজিমা মুক্ত থাকে এবং ত্বকের মধ্যে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
নিম পাতার পানি ব্যবহার
নিম পাতার পানি ত্বক চুল এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। পানি মধ্যে নিম পাতা গরম করে এই পানি ব্যবহার করলে ব্রণ, খোসপাঁচড়া এবং অন্যান্য চুলকানি ও চর্মরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নীল পাতার রস ব্যবহার করলে চুল মোলায়ন নয় এবং এর রস খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়, কৃমি ও ডায়রিয়ার মতো পেটের সমস্যার ক্ষেত্রেও খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
গরম পানিতে নিম পাতা দিয়ে গোসল করলে শরীরের চুলকানি, ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূর হয়। একজিমা দূর করতে নিম জলে স্নান করলেও মিলবে উপকার। স্নানের জলে ১০ ফোঁটা নিম তেল দিয়ে নিন। রোজ এই জলে স্নান করুন। দ্রুত মিলবে মুক্তি। এই টোটকা বেশ উপকারী।
নিম পাতার পেস্ট এবং রস ব্যবহার
নিমের পাতায় ব্যথা নাশক উপাদান থাকায় এটা ত্বকের প্রদাহজনিত ব্যথা ও লালচে ভাব কমাতে সহায়তা করে থাকে। প্রতিনিয়ত দুটি থেকে তিনটি নিমপাতার রস সেবন করলে রক্ত বিশুদ্ধ হয় এবং বিভিন্ন চর্ম রোগ থেকে উপশম পাওয়া যায়। নিমপাতায় রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাংগাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা ত্বকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের যত্নে এটি একটি প্রাচীন ও প্রাকৃতিক উপাদান ।
নিম পাতার পেস্ট ব্যবহার করার জন্য প্রথমে এক মুঠো পরিষ্কার নিমপাতা নিয়ে এরপর ভালো করে পেস্ট করে নিতে হবে। পেস্ট এর সাথে সামান্য লেবু রস যোগ করে নিন এবং সামান্য পরিমাণে গোলাপজল ব্যবহার করা যেতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে যেন পেস্ট বেশি পাতলা না হয়। এবার সে মিশ্রণটি মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিন এবং শুকিয়ে গেলে তা ধুয়ে ফেলুন এভাবে ব্যবহারের ফলে দ্রুত ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। সচেতন ব্যক্তিরা ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। চলুন নিয়মিত ত্বকের যত্নে ব্যবহারের পাশাপাশি সাপ্তাহিক রূপচর্চায় নিম পাতার ব্যবহার করি।
অ্যালার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্ক জানুন
নিম পাতা অ্যালার্জি সমস্যার জন্য প্রাকৃতিক সমাধান । প্রতিদিন কয়েকটি নিম পাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানিতে গোসল করলে আপনার ত্বকের বিভিন্ন অ্যালার্জি সমস্যা দূর হবে। নিমের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ত্বকের সংক্রমণ ও অ্যালার্জি দূর করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও আপনি কাঁচা হলুদের সাথে নিম পাতা বেটে একটি পেস্ট তৈরি করে শরীরের আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন। এলার্জি দূর করতে নিম পাতা অনেক আগে থেকেই ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। নিম পাতা ব্যবহার করে অ্যালার্জির সমস্যা অনেকাংশেই কম করা সম্ভব।
একজিমার সমস্যায় নিম পাতার ব্যবহার
ইতিপূর্বে আমরা অ্যালার্জিতে নিম পাতা কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সে সম্পর্কে আমরা জানলাম এখন আমরা একজিমাই কিভাবে নিমপাতা ব্যবহার করতে হয় সে সম্পর্কে আমরা জানবো। ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, জ্বালা করা কিংবা চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দেয় হঠাৎ করে। বড়দের ক্ষেত্রে এমনকি বাচ্চারা এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। অনেকের এর সঙ্গে দেখা দেয় হাঁপানি ও জ্বরের সমস্যা। এমন শারীরিক জটিলতাকে ডাক্তারি ভাষায় একজিমা বলা হয়ে থাকে। একজিমার সমস্যায় নিম পাতার রসের ব্যান্ডেজ ভিজিয়ে লাগিয়ে রাখলে উপকার পাওয়া যায়।
এমনকি দাদ এবং ক্ষত নিরাময়ের জন্য নিম পাতার পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও একজিমা, ফোড়া অথবা বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা নিরাময়ে নিম খুব কার্যকর। ত্বকের যেসব জায়গায় এ ধরনের সমস্যা রয়েছে সেখানে নিমপাতা বেটে লাগাতে পারেন। নিম পাতা বেটে তাতে সামান্য মধু/দই মিশিয়ে মাস্ক বানিয়ে ১৫ মিনিট মুখে লাগান। ত্বক হবে সতেজ ও দাগমুক্ত। ত্বকের দাগ ও কালচে ভাব দূর করে নিম পাতার রস ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করে। ব্রণের দাগ, সানট্যান, ডার্ক স্পট কমাতে কার্যকর।
মাথার চুলে এবং খুশকি দূর করতে নিম পাতার ব্যবহার
প্রতিনিয়তই চুলে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য আমরা অনেক কিছু করে থাকি। তাই এখন চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে প্রাকৃতিক ঔষধি গুন সম্পন্ন নিমপাতা ব্যবহার করে দেখতে পারেন। তবে আশা করা যায় আপনার চুলের অনেক বেশি উপকার হবে। ত্বকের পাশাপাশি নিম পাতার অসাধারণ উপকারিতা চুলের জন্যওঃ
- খুশকি দূর করে।
- স্কাল্পকে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস মুক্ত রাখে।
- চুল পড়া কমায়।
- চুল ঘন ও শক্ত করে।
নিমের ব্যাকটেরিয়া নাশক ও ছত্রাক নাশক উপাদানের জন্য খুশকির চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে। নিম পাতা মাথার তালুর শুষ্কতা ও চুলকানি দূর করে। কয়েকদিন নিয়মিত নিম পাতার রস মাথায় ব্যবহার করলে খুশকি রোগ নিরাময় হয়। এছাড়াও নিম পাতার প্রলেপ মাথায় ব্যবহার করলে চুল পড়া সমস্যা কমে যায়। অনেক সময় মাথায় ব্যাকটেরিয়া বা ফাংগাল ইনফেকশন হয়। নিমের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাংগাল বৈশিষ্ট্য মাথাকে সুরক্ষিত রাখে । শ্যাম্পু করার পর নিম পাতার পানি ব্যবহার করলে তা কন্ডিশনারের মত কাজ করে। সপ্তাহে ২-৩বার ব্যবহার করুন যতদিন না খুশকি দূর হয়।
চোখের চুলকানি দূর করতে নিম পাতার ব্যবহার
চোখের চুলকানি দূর করতে সরাসরি চোখের উপরে নিম পাতা ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ এতে চোখের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। নিম পাতা চোখের চুলকানি ও অস্বস্তি দূর করতেও সাহয্য করে। আপনি কয়েকটি নিম পাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানিকে ঠাণ্ডা করে তুলা দিয়ে চোখে লাগাতে পারেন। নিম পাতার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায়, চোখের চুলকানি নিরামইয়ে খুব কার্যকর।
নিম পাতা চোখের রোগের জন্য সহায়ক হতে পারে। নিম পাতায় প্রদাহ-বিরোধী এবং ব্যাকটেরিয়া-বিরোধী বৈশিষ্ট্যযুক্ত থাকে, যা কনজাংটিভাইটিস এবং শুষ্ক চোখের সিন্ড্রোমের মতো চোখের রোগের লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করতে পারে। নিম পাতা আপনার চোখের চুলকানি, লালচে ভাব এবং জ্বালাপোড়া কমাতে সাহয্য করবে।
ফাংগাল ইনফেকশন নিম পাতার ব্যবহার
নিমের অ্যান্টি-ফাংগাল বৈশিষ্ট্য ত্বকে ফাংগাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করে। আপনার স্কিনে যেকোন ফাংগাল ইনফেকশন হলে নিম পাতার পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। যদি আপনার পায়ে কোন ফাঙ্গাল ইনফেকশন থাকে নিম ব্যবহার করুন।নিম পাতায় অ্যান্টি-ফাংগাল আছে যা ফাঙ্গাস ধ্বংস করতে পারে। নিম পাতার পেস্ট বানিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগালে নিরাময় লাভ করা যায়। নিম পাতা ফাঙ্গাল ইনফেকশন নিরাময় করে।
চুলকানি, রিংওয়ার্ম , একজিমা ও অন্যান্য ফাঙ্গাল সমস্যায় নিম পাতার পেস্ট বা পানি খুব কার্যকর। আক্রান্ত স্থানে কয়েক ফোঁটা নিমের তেল দিনে তিনবার লাগালেও ভালো ফল পাওয়া যায়। ফাংগাল সমস্যায় নিম পাতা ফুটিয়ে গোসল করুন। ফাংগাল যাবে ১০০ হাত দূরে। তাছাড়া কাঁচা হলুদ ও নিম পাতা একসাথে বেঁটে শরীরে লাগান। ফাংগালের সমস্যা কমবেই ইন-আল্লাহ।
নিম পাতার অপকারিতা
নিম পাতার উপকারিতার যেমন অন্ত নেই ঠিক তেমনি এর কিছু অপকারিতা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত পরিমাণে বা মাত্রায় নিম পাতা ব্যবহার করলে লাভের থেকে ক্ষতি সম্ভাবনা বেশি।
- নিম পাতার রস বেশি ব্যবহার করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
- কারো কারো ক্ষেত্রে অ্যালার্জি হতে পারে, তাই প্রথমে অল্প অংশে টেস্ট করুন।
- নিমপাতা অতিরিক্ত সেবনের ফলে গ্যাসের সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে নিমপাতা সেবনের ফলে কিডনি এবং লিভারের উপর চাপের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
- অতিরিক্ত পরিমাণে নিমপাতা সেবনের ফলে হজম শক্তি বিঘ্নিত ঘটে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে নিমপাতা সেবনের ফলে গর্ভবতী নারীদের জন্য গর্ভপাতের ঝুঁকি সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
- অতিরিক্ত পরিমাণে নিমপাতা সেবন করলে পেটের সমস্যা মাথাব্যথা এবং বমি হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
- গর্ভবতী বা ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করবেন না।
শেষ কথা - অ্যালার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্ক জানুন
প্রিয় পাঠক আপনারা নিশ্চয়ই আমাদের "অ্যালার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্ক জানুন" আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন অ্যালার্জিতে কিভাবে নিম পাতার ব্যবহার করবেন। ব্রণ নিরাময়ের জন্য নিম পাতার ব্যবহার, অ্যালার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার, একজিমার সমস্যায় নিম পাতার ব্যবহার, মাথার খুশকি দূর করতে নিম পাতার ব্যবহার, চোখের চুলকানি দূর করতে নিম পাতার ব্যবহার, অ্যালার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার, ফাংগাল ইনফেকশন নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কিত সকল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
আমার আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো, আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিনা। আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং উপকারী বলে মনে হলে আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url